গঠনতন্ত্র

০১। নামকরণ

অ্যাসোসিয়েশনের নাম হবে— ‘‘রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’’, ইংরেজিতে Rajendra College Bangla Department Alumni Association. সংক্ষেপে অ্যাক্রোনিম হিসেবে লেখা হবে RCBDAA

০২। মনোগ্রাম

রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর নিজস্ব মনোগ্রাম থাকবে।

০৩। প্রতিষ্ঠাকাল

রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রথম সম্মেলনের তারিখকে প্রতিষ্ঠাকাল হিসেবে গণ্য করা হবে।

০৪। কার্যালয়

‘রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’-এর নিজস্ব কার্যালয় না হওয়া পর্যন্ত রাজেন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগ অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে গণ্য হবে।

০৫। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিম্নোক্ত উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে পরিচালিত হবে :

(ক) রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃসংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক, সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা;

(খ) অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সভা-সমাবেশ, সেমিনার, প্রদর্শনী ও ভ্রমণের আয়োজন করা;

(গ) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে কেউ সামাজিক বা স্বাস্থ্যগত বিপর্যয়ের পড়লে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা;

(ঘ) বাংলা বিভাগের মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দান ও বিভাগের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা;

(ঙ) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সন্তানদের লেখাপড়া এবং কর্মসংস্থানের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করা;

(চ) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অথবা তাদের স্ত্রী/স্বামী/সন্তানদের মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জনকাদেররীকে বাৎসরিক সমাবেশে সংবর্ধনা প্রদান করা;

(ছ) দেশের দুর্যোগে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে কাজ করার জন্য একটি কল্যাণ তহবিল গঠন এবং তহবিলের অর্থে জনকল্যাণমূলক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করা;

(জ) জাতীয় পর্যায়ে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহারে উৎসাহিত করা ও কর্মক্ষেত্র সৃষ্টিতে সহায়তা করা;

(ঝ) বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রয়েছে এমন ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ/প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা করা;

(ঞ) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনুরূপ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা;

(ট) উপর্যুক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে লক্ষ্যে অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা;

(ঠ) মানব সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আন্দোনকে বেগবান করতে সচেষ্ট হওয়া।

০৬। তহবিল গঠন:

রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ-সংস্থান, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন, হস্তান্তর, বিনিময় এবং সংগৃহীত অর্থের বিনিয়োগ ও ব্যবহারের জন্য একটি তহবিল গঠন করা হবে।

০৭। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা

রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান সনদপ্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থী অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্য হতে পারবেন।

অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যগণের কাঠামো হবে নিম্নরূপ :

(ক) জীবন সদস্য— এককালীন ২০০০/= (দুই হাজার টাকা) অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলে জমা দিয়ে জীবন সদস্য হতে পারবেন। জীবন সদস্যগণ স্থায়ী সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তাদেরকে বাৎসরিক আর কোনো চাঁদা দিতে হবে না।

(খ) সাধারণ সদস্য— প্রতি বৎসর ৩০০/= (তিনশত টাকা) অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলে জমা দিয়ে সাধারণ সদস্য হতে পারবেন। সাধারণ সদস্যগণ অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। বাৎসরিক চাঁদা পরিশোধ ব্যতীত বার্ষিক সভায়/নির্বাচনে অংশগ্রহণ/ভোট প্রদান করা যাবে না।

(গ) শিক্ষক সদস্য— রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন না, কিন্তু বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন/ছিলেন এমন শিক্ষকগণ এককালীন ২০০০/= (দুই হাজার টাকা) অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলে জমাদানের মাধ্যমে জীবন সদস্য হতে পারবেন।

(ঘ) সদস্যদের (সাধারণ, জীবন ও শিক্ষক) মধ্য থেকে এককালীন ন্যূনতম ৫০,০০০/= (পঞ্চাশ হাজার টাকা) স্থায়ীভাবে প্রদানের মাধ্যমে দাতা সদস্যের মর্যাদা লাভ করা যাবে।

০৮। সদস্য পদ বাতিল/সাময়িক বাতিল:

(ক) কোনো সদস্য নিজ ইচ্ছায় সদস্য পদ প্রত্যাহার করতে চাইলে তিনি নির্বাহী পর্ষদের নিকট লিখিত আবেদনের মাধ্যমে তা করতে পারবেন।

(খ) কোনো সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হলে বা অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম ভঙ্গ করলে অথবা অ্যাসোসিয়েশনের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো কাজ বা আচরণ নির্বাহী পর্ষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সুপারিশ ও সাধারণ পর্ষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদনক্রমে তার সদস্য পদ সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বাতিল বা স্থগিত করা যাবে।

(গ) একবার সদস্যপদ বাতিল বা সাময়িকভাবে বাতিল হলে তা পুনর্বহালের ব্যাপারে সাধারণ পর্ষদ মতামত দিতে পারবে। তবে, এ বিষয়ে নির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

০৯। সাংগঠনিক কাঠামো:

(ক) সাধারণ পর্ষদ

(খ) নির্বাহী পর্ষদ

(গ) উপদেষ্টামণ্ডলী।

১০। সাধারণ পর্ষদের গঠন, ক্ষমতা ও দায়িত্ব:

(ক) সাধারণ পর্ষদ অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে।

(খ) সাধারণ পর্ষদ নির্বাহী পর্ষদ গঠন/নির্বাচন করবে।

(গ) সাধারণ পর্ষদ কোরাম পূরণ সাপেক্ষে গঠনতন্ত্রের অনুমোদন, সংশোধন ও পরিবর্তন করতে পারবে।

১১। নির্বাহী পর্ষদের কাঠামো

(ক) অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পর্ষদ ৩৩ (তেত্রিশ) সদস্যবিশিষ্ট হবে। নির্বাহী পর্ষদ সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) জনকে প্রয়োজনের মুহূর্তে কো-অপ্ট করতে পারবে এবং মেয়াদ পর্যন্ত তাদের সদস্য পদ বহাল থাকবে।

(খ) নির্বাহী পর্ষদের গঠন হবে নিম্নরূপ:

  • সভাপতি ১ (এক) জন
  • সহ-সভাপতি ৫ (পাঁচ) জন (এর মধ্যে রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদাধিকার বলে অ্যাসোসিয়েশন-এর সহ-সভাপতি থাকবেন)।
  • সাধারণ সম্পাদক ১ (এক) জন
  • সহ-সাধারণ সম্পাদক ২ (দুই) জন
  • কোষাধ্যক্ষ ১ (এক) জন
  • সাংগঠনিক সম্পাদক ১ (এক) জন
  • দপ্তর সম্পাদক ১ (এক) জন
  • প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ (এক) জন
  • সাহিত্য সম্পাদক ১ (এক) জন
  • আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১ (এক) জন
  • সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১ (এক) জন
  • ক্রীড়া সম্পাদক ১ (এক) জন
  • সমাজকল্যাণ সম্পাদক-১ জন
  • সদস্য ১৫ (পনের) জন

(ঘ) গঠনের তারিখ থেকে নির্বাহী পর্ষদের মেয়াদ হবে দুই বছর। সাধারণত এই সময়কাল খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) সম্পন্ন করা হবে।

১২। উপদেষ্টামণ্ডলী

অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র (বয়োজ্যেষ্ঠ) সদস্যদের মধ্য থেকে অন্যূন ৭ (সাত) জনকে নিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলী গঠিত হবে। নির্বাহী পর্ষদ সময়ে সময়ে উপদেষ্টামণ্ডলীর পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

১৩। নির্বাহী পর্ষদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব:

(ক) অ্যাসোসিয়েশনের সকল প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক কার্যাবলি পরিচালনা, কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নির্বাহী পর্ষদের সার্বিক ক্ষমতা থাকবে।

(খ) নির্বাহী পর্ষদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে।

(গ) অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।

(ঘ) গঠনতন্ত্রের কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে তা সাধারণ পর্ষদের নিকট নির্বাহী পর্ষদ ব্যাখ্যা করবে।

(ঙ) নির্বাহী পর্ষদ প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে।

(চ) বদলি, পদত্যাগ বা অন্য কোনো কারণে নির্বাহী পর্ষদে কোনো কর্মকর্তার নির্বাহী সদস্যপদ শূন্য হলে উক্ত অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাহী পর্ষদ সাধারণ (জীবন) সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ তিনজনকে কো-অপ্ট করতে পারবে এবং মেয়াদ পর্যন্ত বহল থাকবে।

(ছ) অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের জন্য নির্বাহী পর্ষদ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে।

১৪। নির্বাহী পর্ষদের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব:

(ক) সভাপতি: সভাপতি এ অ্যাসোসিয়েশনের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। তিনি সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তিনি সভা আহ্বান করার জন্য সাধারণ সম্পাদককে পরামর্শ দেবেন। সাধারণ সম্পাদক আহ্বানে অপারগ হলে বা জরুরি সভা ডাকার প্রয়োজন হলে তিনি সভা আহ্বান করবেন।

(খ) সহ-সভাপতি: তিনি সভাপতির কাজে সহায়তা করবেন এবং সভাপতির অনুপস্থিতিতে ১ নম্বর সহ-সভাপতি, তার অনুপস্থিতিতে ২ নম্বর সহ-সভাপতি, তার অনুপস্থিতিতে ৩ নন্বর সহ-সভাপতি, তার অনুপস্থিতিতে ৪ নম্বর সহ-সভাপতি, তার অনুপস্থিতিতে ৫ নম্বর সহ-সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

(গ) সাধারণ সম্পাদক: অ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক কাজের তত্ত্বাবধান ও সম্পাদনার দায়িত্বে থাকবেন। সভাপতির পরামর্শক্রমে সভা আহ্বান করবেন এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন। তিনি সাধারণ পর্ষদের সভায় অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। তিনি নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০,০০০/= (দশ হাজার) টাকা নগদ নিজের কাছে রাখতে পারবেন ও ব্যয় করতে পারবেন।

(ঘ) অর্থ সম্পাদক: অর্থ সম্পাদক অ্যাসোসিয়েশনের বাজেট প্রণয়ন, আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব সংরক্ষণ, ক্যাশ বই লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করবেন। তিনি বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ও আয়-ব্যয়ের হিসাব সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবেন।

(ঙ) সহ-সাধারণ সম্পাদক: সাধারণ সম্পাদকের কাজে সহায়তা করবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ১ নম্বর ও ২ নম্বর সহ- সাধারণ সম্পাদক (অনুপস্থিতির ক্রমানুসারে) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

(চ) সাংগঠনিক সম্পাদক: সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক যাবতীয় কাজে সাধারণ সম্পাদককে সহযোগিতা করবেন।

(ছ) দপ্তর সম্পাদক: দাপ্তরিক ও যোগাযোগ সংক্রান্ত বিষয় পরিচালনা করবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের সভার কার্যবিবরণীর বই, নোটিশ বইসহ সকল রেজিস্টার (ক্যাশবই ব্যতীত) সংরক্ষণ করবেন। তিনি অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় দলিল, নথি, সম্পত্তি ইত্যাদির সংরক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।

(জ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: অ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ও কর্মসূচির প্রয়োজনীয় প্রচার, পুনর্মিলনী ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে স্মরণিকা বা পুস্তিকা, গবেষণা ইত্যাদি প্রকাশনার ব্যবস্থা করাসহ অ্যাসোসিয়েশনের ও সদস্যদের তথ্যসমৃদ্ধ একটি ডাটাবেজ প্রস্তুত, হালনাগাদ ও সংরক্ষণ করবেন।

(ঝ) সাহিত্য সম্পাদক: অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা বা অন্য কোনো সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকা বা কোনো পুস্তিকা প্রকাশের জন্য লেখা সংগ্রহ ও তা প্রকাশের ব্যবস্থা করবেন।

(ঞ) আন্তর্জাতিক সম্পাদক: অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষা এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠনের পক্ষে প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করবেন। বহির্বিশ্বে অবস্থানরত বাংলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

(ট) সাংস্কৃতিক সম্পাদক: অ্যাসোসিয়েশনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা, বার্ষিক পুনর্মিলনী বা ‘বার্ষিক’ সাধারণ সভাসহ নানা সময় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবেন।

(ঠ) ক্রীড়া সম্পাদক: অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে যাবতীয় ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং সংগঠনের গৃহীত বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মসূচি (ক্রীড়া সংক্রান্ত) বাস্তবায়ন করবেন।

(ড) সমাজকল্যাণ সম্পাদক: অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও গৃহীত কর্মসূচির আলোকে সমাজসেবামূলক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আপ্যায়ন সংক্রান্ত কাজে সহযোগিতা করবেন।

(ঢ) নির্বাহী সদস্য: সকল সভায় উপস্থিত হওয়া, সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা, সংগঠনের কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা এবং নির্বাহী পর্ষদ কর্তৃক কোনো দায়িত্ব অর্পিত হলে তা পালন করবেন।

১৫। নির্বাচন:

(ক) নির্বাহী পর্ষদ তিন সদস্যবিশিষ্ট (একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুইজন নির্বাচন কমিশনার সমন্বয়ে) একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাহী পর্ষদের নির্বাচনের যাবতীয় ব্যবস্থা করবে, তবে নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

(খ) চলমান নির্বাহী পর্ষদের দ্বিতীয় বছর মেয়াদান্তে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন নির্বাহী পর্ষদের নির্বাচন হবে।

(গ) চাঁদা পরিশোধের মাধ্যমে যারা সদস্যপদ হালনাগাদ করেছেন, তারাই কেবল ভোটাধিকার প্রয়োগ বা সরাসরি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যারা সদস্য হবেন— তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।

(ঘ) নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক সহায়তাসহ যেকোনো সদস্যের সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

(ঙ) প্রতি দুই বছর অন্তর অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনিবার্য কারণবশত নির্ধারিত সময় যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে উক্ত মেয়াদ বর্ধিত করা যেতে পারে।

(চ) সাধারণত নির্বাহী পর্ষদ গঠনে, সমঝোতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সমঝোতায় ব্যর্থ হলে নির্বাচনের দিন এক বা একাধিক প্যানেলের মাধ্যমে উপস্থিত সদস্যের কণ্ঠ/হস্ত উত্তোলন বা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে প্রদানকৃত ভোটে নির্বাহী পর্ষদ গঠিত হবে।

১৬। সভা অনুষ্ঠান (সাধারণ পর্ষদ)

(ক) বছরে অন্তত একবার সাধারণ পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ন্যূনতম ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল সদস্যকে জানাতে হবে। তবে, জরুরি প্রয়োজনে একের অধিক জরুরি সভা আহ্বান করা যাবে এবং লিখিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে এই জরুরি সাধারণ সভা করতে হবে।

(খ) স্বাভাবিক নিয়মে বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত না হলে বা কোনো প্রকার অনাস্থা প্রস্তাব বা সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিবেচনার্থে বা জরুরি প্রয়োজনে কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে সভাপতি জরুরি সাধারণ সভা ডাকতে পারবেন।

(গ) প্রতিবছর একবার সদস্যদের সমন্বয়ে ও পরিবার-পরিজনসহ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা যাবে।

(ঘ) সভাপতির নির্দেশক্রমে সাধারণ সম্পাদক সকল সভা আহ্বান করবেন। তবে, যেকোনো জরুরি সভা বা সভাপতির পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক কোনো সভা ডাকতে ব্যর্থ হলে সভাপতি জরুরি সভা ডাকতে পারবেন।

(ঙ) সাধারণ পর্ষদের সভা ‘বার্ষিক’ সাধারণ সভা নামে অভিহিত হবে এবং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য চাঁদা পরিশোধকৃত তালিকাভুক্ত সদস্যদের এক-তৃতীয় উপস্থিতিতে সভায় কোরাম হবে। সাধারণ সভায় অ্যাসোসিয়েশনের আয় ব্যয়ের হিসাব নিকাশ ও বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হবে।

(চ) সাধারণ সংখ্যাধিক্য মতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হবে, তবে সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সমঝোতাকে বা ঐকমত্যকে প্রাধান্য দিতে হবে।

(ছ) কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোরাম যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে, তবে সাধারণ পর্ষদ বা নির্বাহী পর্ষদের কোনো সভা কোরামের অভাবে অনুষ্ঠিত হতে না পারলে মূলতবি সভা কোরাম ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে পারবে এবং সেক্ষেত্রে সভার বিজ্ঞপ্তির সময়সীমা অপরিবর্তিত থাকবে।

(জ) গঠনতন্ত্র সংশোধন বা বিলুপ্তির কোনো প্রস্তাব মূলতবি সভায় বিবেচনা করা যাবে না।

১৭। সভা অনুষ্ঠান (নির্বাহী পর্ষদ)

(ক) নির্বাহী পর্ষদের সভা সাধারণভাবে প্রতি বছর অন্যূন তিনটি অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ন্যূনতম ৭ (সাত) দিনের লিখিত বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। প্রয়োজনবোধে নির্বাহী পর্ষদের অতিরিক্ত জরুরি সভাও ডাকা হবে। নির্বাহী পর্ষদ যেকোনো সময বর্ধিত সভার আয়োজন করতে পারবে।

(খ) নির্বাহী পর্ষদের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে।

১৮। তহবিল সংগ্রহ ও পরিচালনা:

(ক) ‘রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’ নামে নির্বাহী পর্ষদের মনোনীত যেকোনো ব্যাংকে এক বা একাধিক ব্যাংক একাউন্ট থাকতে পারবে।

(খ) রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর নামে ব্যাংক একাউন্ট থাকবে। ব্যাংক একাউন্ট, বা একাউন্টসমূহ থেকে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের মধ্যে যেকোনো দুইজনের যুগ্মস্বাক্ষরে লেনদেন সম্পন্ন হবে।

(গ) সদস্য বা জীবন সদস্যদের নিকট থেকে সংগৃহীত চাঁদা বা স্মরণিকা/সংকলনের জন্য বিজ্ঞাপন ছাড়াও নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদনক্রমে নির্বাহী পর্ষদ বা পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সংস্থা/সংগঠনের কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করতে পারবেন বা তহবিল গঠন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বা আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবেন, তবে সরকারের প্রদত্ত কোনো অনুদানের জন্য এরূপ কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

(ঘ) অ্যাসোসিয়েশনের কাজে ১০,০০০/= (দশ হাজার টাকার) ঊর্ধ্বে ব্যয়ের জন্য নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

(ঙ) বার্ষিক সাধারণ সভার আগেই নির্বাহী পর্ষদের উদ্যোগে অ্যাসোসিয়েশনের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধিত একটি আয়-ব্যয় নিরীক্ষণ প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং উক্ত সভায় নিরীক্ষাকৃত প্রতিবেদনটি অনুমোদিত হতে হবে।

১৯। গঠনতন্ত্র সংশোধন

(ক) গঠনতন্ত্রের কোনোরূপ সংশোধনের প্রয়োজন হলে বার্ষিক সাধারণ সভা বা জরুরি সাধারণ সভার (কোনো মূলতবি সভা নয়) কমপক্ষে এক মাস পূর্বে নির্বাহী পর্ষদের নিকট কোনো সদস্য কর্তৃক প্রস্তাবাকারে তা পেশ করতে হবে। নির্বাহী পর্ষদ মতামতসহ বা মতামত ছাড়া উক্ত প্রস্তাব সাধারণ সভা বা জরুরি সাধারণ সভায় পেশ করবে।

(খ) গঠনতন্ত্রের উক্তরূপ সংশোধন বা পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের প্রয়োজন হলে তা কেবল বার্ষিক সাধারণ সভা বা জরুরি বিশেষ সাধারণ সভায় উপস্থিত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদনক্রমে গৃহীত হতে পারবে।

২০। বিলুপ্তি

কোনো বিশেষ সময়ে বা পরিস্থিতিতে অ্যাসোসিয়েশনের বিলুপ্তির প্রয়োজন দেখা দিলে, যথাযথ বিজ্ঞপ্তি প্রদান সাপেক্ষে বার্ষিক সাধারণ সভা বা জরুরি সাধারণ সভায় উপস্থিত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে বিলুপ্তি ঘটানো যাবে। তবে, শর্ত থাকে যে, সংগঠনটির বিলুপ্তি ঘটলে বা বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত হলে সকল দায় পরিশোধের পর কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি থাকলে তা সাধারণ সভার বা জরুরি সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত/স্বনামধন্য কোনো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে অনুদানস্বরূপ প্রদান করা যাবে।

২১। কার্যকারিতা

রাজেন্দ্র কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখের সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে প্রণীত এই গঠনতন্ত্র উক্ত তারিখ থেকে কার্যকর  হয়েছে বলে গণ্য হবে।

(সমাপ্ত)